ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধের দিনে টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ১২-১০-২০২৪ ০১:১৫:২৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ১২-১০-২০২৪ ০১:১৫:২৮ পূর্বাহ্ন
বন্ধের দিনে টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় বন্ধের দিনে টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়
দুর্গোৎসব বন্ধে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার, নিলাদ্রী লেক, বারেকটিলা, যাদুকাটা ও শিমুল বাগানে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় জমে উঠেছে। হাউজবোট মালিকরা জানান, টাঙ্গুয়া হাওরে চলাচলকারী জলছবি, রঙ্গিলা বাড়ই, হাওরের সুলতান, রূপকথা, সিন্দাবাদ তরী, মায়াবতী, নবাব দা হাওরভিলা, জলেরগান, জলনিয়াবাস গাংচিল সহ ৯০টি হাউজবোট ও ছোট বড় প্রায় ২০০ পর্যটকবাহী বোট বুকিং হয়েছে। এসব বোর্ডে পর্যটক নিয়ে হাওর জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মাঝিরা।
জানা যায়, বৈষ্ণব কবি রাধারমণ, মরমি কবি হাছন রাজা, জ্ঞানের সাগর দুর্বীণ শাহ, বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমসহ অসংখ্য সাধকের জন্মস্থান সুনামগঞ্জ জেলায়। টাঙ্গুয়ার হাওর, লাউড়ের গড়, নীলাদ্রী লেক, হাছন রাজার বাড়ি, বারেকের টিলা, শিমুলবাগান, টেকেরঘাট-বাঁশতলা- মহেষখলা স্বাধীনতা উপত্যকা, পণতীর্থ, শাহ আরেফিনের মাজারসহ পর্যটক আকর্ষক নানা পাহাড়ি লেক ঘুরে দেখতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছেন পর্যটকরা। ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা রুপালী জানান, তারা একসঙ্গে ১৫জন এসে হাউসবোটে উঠেছেন। ২ দিন ২ রাত টাঙ্গুয়ার হাওর, নীলাদ্রি লেক, যাদুকাটা নদীসহ বিভিন্ন স্পটে ঘুরবেন তারা। খাওয়া-দাওয়াসহ সবকিছুই হাউসবোটে করছেন।
নবীন নামে এক পর্যটক বলেন, এখানে এসে হাউসবোট ব্যবসায়ীসহ পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভালো আচরণ পাচ্ছেন না তারা। অনলাইনে বুকিং নেয়ার সময় হাউসবোট মালিকগুলো যে অফার দিচ্ছে, বাস্তবে সেভাবে সেবা দিচ্ছে না। বুকিংয়ের সময় খাবারের যে  মেন্যু’র তালিকা পর্যটকদের দেওয়া হয়। পরিবেশনের ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটে। বোটে যেসব সুবিধার থাকার কথা উল্লেখ করা হয়, বাস্তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেটি থাকে না। পর্যটকরা এখানে আসার জন্য হাউসবোট বুকিং দিয়ে কোনো কারণে না আসতে পারলে, বুকিং ক্যান্সেল করলেও টাকা ফেরত পান না। পর্যটন উদ্যোক্তা মনি বলেন, পূজার ছুটিতে জমে উঠেছে টাঙ্গুয়ার হাওরকেন্দ্রিক পর্যটন স্পটগুলোগুলো। লম্বা ছুটিতে দেশের অন্যান্য গন্তব্যে আবাসন, খাবার ও সাইটসিয়িং এর আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু টাঙ্গুয়ার হাওরের হাউসবোটকেন্দ্রিক পর্যটনে আবাসন, খাবার ও সাইটসিয়িং সব কিছুই এক হাউজবোটে থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। আমরা পুরো বিষয়টি ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি। আমার বোটের প্রতি কোনো পর্যটক যাতে বিরাগভাজন না হন, সেটি কঠোরভাবে মেইন্টেইন করছি।
সুনামগঞ্জ হাউসবোট মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসানুর রহমান উল্লাস জানান, এবারের ছুটিতে এসোসিয়েশনের অন্তর্ভুক্ত ৯০ টি হাউসবোটসহ প্রায় দুইশ’ হাউসবোট ও পর্যটকবাহী নৌযান পর্যটকদের সেবা দিচ্ছে। এই মুহূর্তে কোনো বোটে বুকিং নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই খাতে জড়িত উদ্যোক্তা সহ প্রায় দুই সহস্রাধিক পর্যটনকর্মী সকলেই আন্তরিকভাবে পর্যটকদের সেবা দিচ্ছেন। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, কোনোভাবেই পর্যটক হয়রানি বা তাদের অভিযোগ সহ্য করা হবে না। টাঙ্গুয়ার হাওরে কতগুলো হাউসবোট বা নৌকা চলবে, কীভাবে চলবে, কোন কোন এলাকা দিয়ে চলতে পারবে, কোন এলাকা দিয়ে চলতে পারবে না। পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণে সংশ্লিষ্টদের কী কী দায়িত্ব পালন করতে হবে। এসব বিষয়ে শিগগিরই নতুন করে নীতিমালা তৈরি হবে। আলাদা সভা করে এই নিয়ে আলোচনা হবে। এই বিষয়ে প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্যকারীদের হাওরে চলতে দেয়া হবে না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ